বাইডেনের সঙ্গে কখনো কথা হয়নি আরেফির: ডিবিপ্রধান

শেয়ার করুন

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তার কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফির কখনো কথা হয়নি। তবে ২০২১ সালে একটি জুম মিটিংয়ে বাইডেনের স্ত্রীর সঙ্গে তার একবার কথা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মিয়া আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারা ফটকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।

ডিবিপ্রধান বলেন, ‘ঢাকায় বিএনপির ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ হাসপাতালে হামলা, পুলিশের গায়ে আঘাত করা, একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা ও সন্ধ্যায় বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া আরেফিকে সঙ্গে নিয়ে হাসান সোহরাওয়ার্দীর পার্টি অফিসে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন একসূত্রে গাঁথা। এর সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতারা জড়িত। আমরা তাদের অনেককে ধরে এনেছি, জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ‘আমরা সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সোহরাওয়ার্দীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সেখান যে গরমিল ছিল তা জানতে কাশিমপুর কারাগারে এসেছি। জিজ্ঞাসাবাদে আরেফি বলেছেন, তিনি ওই সেনা কর্মকর্তার ট্র্যাপে পড়েছেন। তার কথাতেই মিথ্যা পরিচয়ে বক্তব্য রাখেন।’

এই কাজগুলো করার পেছনে আরেফির কী উদ্দেশ্য বা লাভ ছিল, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ‘তার লাভ বলতে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ভালো অবস্থানে যাবেন। তখন তাকে দিয়ে তিনি (আরেফি) লাভবান হবেন বা ভালো কিছু পাবেন। এসবের জন্যই এটি করেছেন। তবে আরেফি স্বীকার করেছেন যে, তিনি বুঝতে পারেননি। তার সঙ্গে এভাবে প্রতারণা করা হয়েছে। এখন তিনি অনুতপ্ত।’

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আরেফি। তিনি নিজের পরিচয় দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘উপদেষ্টা’ হিসেবে। ২৯ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আরেফিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।


শেয়ার করুন

Similar Posts