যাকে খুশি তাকে জনগণ ভোট দিবে: প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের কেউ সংঘাত করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাকে খুশি তাকে জনগণ ভোট দিবে বললেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পাঁচ জেলার (পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা ও খাগড়াছড়ি) নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আসন্ন নির্বাচনে নৌকা, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলও আছে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে সংঘর্ষ বা মারামারি দেখতে চাই না। আমি চাই জনগণ নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। দলের কেউ সংঘাত করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ এর মতো তারা আবারও অগ্নি-সন্ত্রাস করছে। বিদেশ থেকে নির্বাচন বানচালের হুকুম দিচ্ছে। মানুষের শান্তি ওদের ভালো লাগে না। বিএনপির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে কোন দল এলো না এলো তাতে কিছু আসে যায় না। বিএনপি ভোট চুরির সুযোগ পাবে না দেখে নির্বাচনে আসে না। যার কারণে তারা সবসময় নির্বাচন বাতিল করতে চায়, বর্জন করতে চায়। সেটা তাদের ইচ্ছা, যার যার দলের ইচ্ছা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরাই কিন্তু সংগ্রামের মাধ্যেমে এটা বিষয় প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম; ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দিব’। আমরাই ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছি। আমরা ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। আজ মানুষ ভোট দিতে পারে, সেই সুযোগ সৃষ্টি করেছি। দেশের জনগণের আত্ম-সামাজিক মর্যাদা সৃষ্টি করেছি। তাই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দেবে জনগণ। নির্বাচন উন্মুক্ত করেছে সরকার। নৌকাসহ আছে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীও। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। যাকে খুশি তাকে জনগণ ভোট দিবে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগ জনগণকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আর সেটা অব্যাহত থাকবে। এবারের নির্বাচনে আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ করে কেউ যেন, মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভোট নিয়ে যাতে কোনো সংঘাত না হয়, জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। দলের নেতাকর্মী যেই হোক এর কোনো ব্যত্যয় হলে ছাড় দেয়া হবে না। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। এখানে কিন্তু কোনা রকম মারামারি-সংঘাত আমি দেখতে চাই না।
এ সময় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করে জনগণের সেবার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।