ডিক্যাব সম্মাননায় ভূষিত হলেন সেহেলী সাবরিন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরিনাকে সম্মানা দিয়েছেন বাংলাদেশ-ডিক্যাব ।আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ডিক্যাব আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সেহেলী সাবরিনের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রোমানা আলী।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিবের সভাপতিত্বে ও ইসরাত জাহান উর্মির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত লেখিকা শামীম আজাদ, বক্সার তামান্না হক প্রমুখ ।
সম্মাননা পুরস্কার পেয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে সেহেলী সাবরিন বলেন, নারীর প্রতি অর্থনৈতিক বিনিয়োগ খুবই দরকার। পরিবার থেকেই আমরা সাহস পেয়ে থাকি। বিশেষ করে পুরুষদের মাধ্যমেই আমরা উৎসাহ পাই। কূটনৈতিক হিসেবে নারীরা কোনোভাবে পিছনে নেই। পুরুষদের ওই অর্থে প্রমাণ দিতে হয় না, আমাদেরকে যেইভাবে প্রমাণ দিতে হয়। নারী পুরুষ এক সাথে মিলে যদি আমরা কাজ করি, তাহলে যেই কোনো কাজে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেন, আমি শিক্ষকতা পেশায় কেনো এসেছি? কারণ আমাকে সংসার দেখতে হবে। পরিবার যদি পাশে থাকে, সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। সব ছেলেরা এক রকম না। আমার হাজবেন্ড অন্যদের থেকে আলাদা। আমি ল পড়েছি। আমার একমাত্র সহযোগী ছিলেন আমার হাজবেন্ড। ফ্যামিলির ও আশপাশের সবাইকে সাথে নিয়ে চলতে হবে। ইনভেস্টমেন্টের জায়গাসহ আমাদের সব জায়গায় যেয়ে কথা বলতে হবে। সমস্যা অনেক আছে, সমাধানও করতে হবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট লোক তৈরি করতে হবে। তার জন্য শিক্ষা দিয়েই নারীদের অবস্থান তৈরি করতে হবে। কোন জেন্ডার বৈষম্য না রেখে নারী-পুরুষ সবাই কাধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলেই ২০৪১ সালের আগেই বিশ্বের কাতারে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হবে।