বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে চেয়েছিল, ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে চেয়েছিল। সে জন্য তারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চলমান রাজনীতি প্রসংগে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ৯.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বেগে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন যে অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পটভূমি তৈরি করেছিল, হত্যায় জড়িত ছিল, শুধু বঙ্গবন্ধু নয় স্বাধীনতারও বিরোধিতা করেছিল, সেই অপশক্তির ধারাবাহিক অপশক্তি এখন দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ভেস্তে দিতে, দেশকে পেছেনে নিয়ে যেতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা প্রকাশ্যেই দেশকে পেছনে নেওয়ার জন্য ”টেক ব্যাক বাংলাদেশ” শ্লোগান দেয়।’
এই রাজনৈতিক অপশক্তি বারবার দেশে গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চেয়েছে, সেই চক্রান্তেই বিএনপি গত নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে দিবাস্বপ্নের চূড়া থেকে ধপাস করে পড়ে গিয়ে এখন হাঁটছে, লিফলেট দিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন- ‘আপনারা হাঁটেন, দৌড়ান কিন্তু আবার যদি মানুষ পোড়ানোর অপচেষ্টা করেন, জনগণ উচিত শিক্ষা দেবে।’
‘দুর্যোগে মানুষের পাশে নয়, বিদেশে পুরস্কার নিতে ব্যস্ত থাকেন ড. ইউনুস’
‘কিছু ব্যক্তিবিশেষও রাজনৈতিক অপশক্তির সাথে যুক্ত হয়েছে যারা বিশ্বের সামনে দেশকে দরিদ্র বলে অপপ্রচার চালিয়ে নিজে নানা পুরস্কার নেয়’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, দেশের মানুষের দু:খ-দুর্দশা নিয়ে তাঁর কোনো চিন্তা নাই। দেশে যখন বন্যা হয় তখন তাঁকে পাওয়া যায় না, দেশে যখন মানুষ পোড়ানো হয় তখন তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না, দেশে যখন দুর্যোগ হয় তখন ড. ইউনুসকে বিদেশে পুরস্কার নিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।’
‘ড. ইউনুসের লবিস্ট ফার্ম পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যত পুরস্কার দেওয়া হয় সেসব জায়গায় যোগাযোগ করে পুরস্কার আনে অথচ তিনি দেশের কাজে নাই -এটি অত্যন্ত হাস্যকর’ বলেন মন্ত্রী।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান এবং আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট বলরাম পোদ্দার সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। প্রতিমন্ত্রী নাহিদ খান তাঁর বক্তৃতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর পরম আত্মত্যাগী জীবনের ওপর সংক্ষেপে আলোকপাত করেন।
ঢাকার সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে ও স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান ও সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, ইসলামী চিন্তাবিদ শাইখ আকরামুজ্জামান মাদানী, যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও সকল শহীদের আত্মার শান্তি এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণ প্রার্থনা করে মুনাজাত পরিচালিত হয়।