গাজীপুরে প্রত্যাহারের পর আবারো অবরোধ, বেড়েছে দুর্ভোগ

শেয়ার করুন

গাজীপুর মহানগরের মোগরখাল এলাকায় অবস্থিত টিএন্ডজেড গ্রুপের পাঁচটি কারখানার শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ভোগড়া এলাকায় ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে টানা তিনদিনের সড়ক অবরোধ দুপুরে প্রত্যাহার হয়। এর দু ঘণ্টা পর আবারো শ্রমিকরা পাকিস্তানে মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে আবার ওপরে যায় দুর্ভোগ ও ভোগান্তি।

শনিবার সকাল সাড়ে নটা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ আজ সোমবার দুপুর ২ টার দিকে প্রত্যাহার হয়। এরপরই যান চলাচল শুরু হয়। এর দু’ঘণ্টার মাথায়
শ্রমিকরা আবার মহাসড়কে নেমে অবরোধ শুরু করে। তারা জানায় কবে কখন কিভাবে তাদের সমুদয় ভাতা পরিশোধ করা হবে তার সুস্পষ্ট ঘোষণা না পেয়ে তারা আবার অবরোধে নামে। এর আগে দুপুরে কিছুটা বিভ্রান্তির কারণে তারা সড়ক থেকে উঠে গিয়েছিল।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, দুপুরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রমিকদের অডিও বার্তা দিয়ে তাদের পাওনা দি পরিশোধের আশ্বাস দেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের পাওনার ৬ কোটি টাকার ব্যবস্থা করবে সরকার। বাদবাকি পাওনা দিয়ে পরিশোধের ব্যাপারে শ্রমও মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষ পক্ষের বৈঠক হবে। গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে কারখানা শ্রমিকদের ৫ সদস্যের টিম মন্ত্রণালয় বৈঠক করতে যাবেন। সেখানেই আলাপ-আলোচনা করে বকেয়া দি মেটানোর বিষয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা হবে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য, বিজেপি সদস্য ও শিল্প পুলিশের উপস্থিতিতে এমন শুরু হওয়ার পর শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই অবরোধস্থলের দুদিকে দীর্ঘ যানজটে থাকা যানবাহন আস্তে আস্তে চলতে শুরু করে।

এদিকে যানবাহন প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলতে থাকার পর অবরোধ সৃষ্টি করলে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা বাইপাস সড়কে যান চলাচলে স্থবিরতা দেখা দেয়। যাত্রীবাহী বাস ও পণ্য বোঝাই ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, সহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। অফিস ও কর্মস্থল থেকে ফেরা লোকজন পড়েন চরম ভোগান্তিতে। আর তিন দিন ধরে যে সকল পরিবহন চালকরা ও সড়কে আটকে আছেন তারা পড়েছেন দুঃসহ যন্ত্রণায়।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার পর শ্রমিকরা মহাসড়কে নেমে আসলে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন লোকজন। একই অবস্থা রোববার সকালে। মহাসড়কের ভোগড়া এলাকায় শ্রমিকদের অবস্থানের কারণে ওই মহাসড়কের বিকল্প পথে যানবাহন চলাচল করছে।

কারখানার শ্রমিকরা জানান, তাদের তিন মাসের বকেয়া বেতন, ওভারটাইম বিল সব পাওনাদির দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু বেতন ভাতা পরিশোধ না হয় তারা সড়কে নামতে বাধ্য হন। তারা বলছেন দাবিদেও পূরণ অর্থাৎ বকেয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলনের মাঠে থাকবেন।


শেয়ার করুন

Similar Posts