আমতলীতে জমি দখল করতে দুই শতাধিক কলাগাছ কেটে সাবাড়!

শেয়ার করুন

জমি দখল করতেই দুই শতাধিক কলা গাছ হোসেন খাঁন কেটে সাবাড় করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্র জাহানারা বেগম এমন অভিযোগ করেছেন। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামে মঙ্গলবার সকালে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোসেন খাঁনের বিচার দাবী করেছেন তিনি।

জানাগেছে, ১৯৯৫ সালে আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া গ্রামের হতদরিদ্র জাহানারা বেগমের মা বকফুলকে এক একর জমি বন্দোবস্থ দেয় সরকার। ওই জমিতে জাহানারা বসতভিটে নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। ২০২০ সালে ওই জমির সামনে নদীর চরের খাস জমিতে তিনি (জাহানারা) দুই শতাধিক কলাগাছ, লেবু ও পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফলের গাছ রোপন করেছেন। ওই জমির ফসল দিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন এমন দাবী তার।

গত ১৫ দিন আগে ওই জমি হোসেন খাঁন তার দাবী করে দখল করতে আসে। কিন্তু স্থানীয় লোকের কারনে তিনি দখল করতে পারেনি। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ওই জমিতে থাকা দুই শতাধিক কলাগাছ, লেবু ও পেয়ারাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে। গাছ কেটেই খ্যান্ত হয়নি তিনি। ট্রাক্টর মেশিন দিয়ে ওই জমির সমুদয় গাছ গুড়িয়ে দিয়েছেন। এতে ওই হত দরিদ্র পরিবারের অন্তত লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফলে পরিবার পরজিন নিয়ে তাকে পথে বসতে হবে এমন অভিযোগ জাহানারা বেগমের। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোসেন খাঁনের শাস্তি দাবী করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।

হতদরিদ্র জাহানারা বলেন, সরকার আমার মা বকফুলকে এক একর জমি বন্দোবস্ত দেয়। ওই জমিতে আমি গত ৩০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি। ওই জমির সামনে নদীর চর সরকারী খাস জমিতে আমি দুই শতাধিক কলাগাছ, লেবু ও পেয়াবাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেছি। ওই গাছের ফল বিক্রি করে আমি আমার সংসার চালাই। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে হোসেন খাঁন জোরপুর্বক ওই জমিতে থাকা সমুদয় গাছ কেটে ফেলে দখল করে নিয়েছে। আমি অসহায় মানুষ এখন কোথায় যাব? আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোসেন খাঁনের শাস্তি দাবী করছি।

অভিযুক্ত হোসেন খান বলেন, আমি ওই জমি সরভানুর কাছে থেকে পাট্টা রেখেছি। তাই জমি দখলে নিতে সমুদয় গাছ কেটে ফেলেছি।

আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শেয়ার করুন

Similar Posts