গাজীপুরে হাসনাতের ওপর হামলা : ১০০ জনকে আসামি করে মামলা

গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় ১০০ জনের নামোল্লেখ করে জিএমপি’র বাসন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় এনসিপি’র সদর থানার আহ্বায়ক খন্দকার আল আমিন বাদী হয়ে বাসন থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় সোমবার সকাল পর্যন্ত ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগর ও জেলার এনসিপি নেতারা বাসন থানায় উপস্থিত হয়ে সংগঠনের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় মামলার এজাহার দায়ের করেন। সন্ধ্যায় ১০০ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহীন খান।
মামলায় বলা হয়, রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে কাঁচ ভেঙে তাকে হত্যার চেষ্টা করে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত দায়ীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় রাতভর চান্দনা চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। পরে এই ঘটনার জড়িত থাকার অভিযোগে ৫৪ জনকে আটক করা হয়। এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আটকৃতদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে স্থানীয় ভাবে জানা গেছে।
রোববার (৪ মে) রাতভর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) তাদের আটক করে।রোববার সন্ধ্যার পর হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার পর থেকেই জিএমপি’র থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন- গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা মো. নিজাম উদ্দিন ও কাশিমপুর থানা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমদ দিপু। বাকীদের বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকায় ফেরার পথে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তার কাছে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। গাড়ির চালকের ভাষ্য মতে, পেছন থেকে মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্ত এসে গাড়িতে হামলা করে। হামলায় গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। আব্দুল্লাহ দ্রুত আশ্রয় নেন আইইউটিতে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় ঢাকায় যান তিনি। এরপর এলাকায় এলাকায় ব্যাপক অভিযান শুরু হয়।