কাজলও নানা প্রকারের হয়, প্রতিটির ব্যবহারে আছে বিশেষত্ব

শেয়ার করুন

কাজল কেনার সময়ে কখনও ভেবেছেন কি, এরও কিন্তু প্রকারভেদ হয়? প্রতিটির ব্যবহারে বিশেষত্ব রয়েছে। তাই কাজল যদি কিনতে হয়, সে ক্ষেত্রে বেছে কেনাই ভাল।

রূপটান যতই সামান্য হোক না কেন, কাজলকালো চোখের জাদুতেই বাজিমাত করা যায়। সিনেমা হোক বা বাস্তব, কাজলনয়নের আবেদনই আলাদা। তাই চোখের সাজ সব সময়েই গুরুত্ব পায়। নারীর কাজল কালো রূপের স্তুতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এখন অবশ্য শুধু কালো নয়, চোখের সাজেও রঙের ছোঁয়া লেগেছে। ডার্ক স্মোকি, গ্রাফিক ডিজ়াইন, ক্যাট আই, উইঙ্গড, স্টোন বা সিকুইনের মতো আই মেকআপের চল হয়েছে। তবে কাজলের আকর্ষণই আলাদা। কাজল কেনার সময়ে কখনও ভেবেছেন, যে এরও কিন্তু প্রকারভেদ হয়। পেন্সিল বা কৌটো কাজলের পাশাপাশি নানা ধরনের কাজল পাওয়া যায় এখন। প্রতিটির ব্যবহারে বিশেষত্ব রয়েছে। তাই কাজল যদি কিনতে হয়, তা হলে বেছে কেনাই ভাল। কোন কাজল কেমন, কার চোখে কেমন মানাবে, তা-ও জেনে রাখা জরুরি।

কাজলের নানা রকম

রিট্র্যাক্টেবল পেন্সিল কাজল

এই ধরনের কাজলকে বলে টুইস্টার। বেশির ভাগ মহিলাই এই ধরনের কাজল ব্যবহার করেন। খুব সহজে চোখ আঁকা যায় এবং দীর্ঘ সময়ে চোখে থাকেও। টুইস্টার সব সময়েই ওয়াটারপ্রুফ ও স্মাজপ্রুফ, অর্থাৎ, জলে ভিজে ঘেঁটে যাবে না। খুব ঘাম হয় যাঁদের, তাঁদের জন্য এবং বর্ষার দিনে এমন কাজল আদর্শ।

পেন্সিল কাজল

কাঠের বা প্লাস্টিকের কাজল পেন্সিল পাওয়া যায়। তবে ব্যবহারের আগে কাজলের মুখ সূক্ষ্ম করে নিতে হয়। রিট্র্যাক্টেবল কাজল আসার আগে এমন পেন্সিল কাজলই ব্যবহার করা হত। এখন স্মোকি আইয়ের জন্য এমন কাজলের ব্যবহার হয়। খুব সূক্ষ্ম রেখা টানা যায় এমন কাজল পেন্সিলে।

কৌটো কাজল

ষাটের দশকে বিশ্ব জুড়ে সাইরেন আই মেকআপ জনপ্রিয় হয়েছিল, যা এখন নতুন করে ফিরে এসেছে। বলিউডে হেলেন, শর্মিলা ঠাকুর প্রমুখ শিল্পীকে চোখের এমন মেকআপ করতে দেখা গিয়েছে। তখন হয়তো এই নামে মেকআপটি পরিচিত ছিল না। এমন কাজল হাত দিয়ে বা স্পঞ্জ দিয়ে পরা হয়। ইচ্ছে মতো চোখের টান সূক্ষ্ম বা গাঢ় করা যায়। চোখের সামনের কোণে ক্যাটস আইয়ের মতো কাজল টেনে মাঝের আংশটা ছেড়ে, চোখের বাইরের কোণ মিলিয়ে দেওয়া হয় বলে ছোট চোখও উজ্জ্বল ও মোহময় দেখতে লাগে।

জেল কাজল

টিউবে পাওয়া যায় এমন কাজল। ব্রাশ দিয়ে নানা রকম শেপে এই কাজল পরা যায়। দীর্ঘ সময় চোখে থাকে, ঘেঁটে যায় না। জেল কাজল লাগাতে হলে চোখের পাতা আগে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তার পর প্রাইমার দিয়ে শুরু করতে হবে মেকআপ। ছোট ব্লেন্ডিং ব্রাশে অল্প জেল কাজল নিয়ে চোখের নীচের ও উপরের পাতা বরাবর লম্বা করে টানতে হবে। চাইলে চোখের কোনা থেকে পাখির ডানার মতো খানিকটা টেনে দিন। এতে উইঙ্গড আই ভাল বোঝা যাবে। এর পর বোল্ড মাস্কারা দিয়ে সাজিয়ে তুলুন চোখের পাতা।

কাজলের টান

কাজল যেমনই হোক না কেন, তা পরার নিয়মও আছে। যেমন তেমন ভাবে পরলে সাজই সম্পূর্ণ হবে না। কাজল পরার ৫ ধাপ জেনে নিন।

১) কাজল পরার সময় টেবিলের উপর কনুইয়ের ভর দিন। হাত ‌যেন না কাঁপে।

২) যে চোখে কাজল পরছেন, সেই চোখ হালকা হাতে টেনে ধরুন। স্ট্রোক দিতে সুবিধে হবে।

৩) কাজল কখনও এক টানে পরবেন না। ছোট ছোট ধাপে পরাই সবচেয়ে ভাল। চোখের নীচের পাতার বাইরের দিকের কোনা থেকে কাজল পরা শুরু করুন। তাতে রং গাঢ় করতে পারবেন।

৪) আপনার চোখ যদি ছোট হয়, ভিতরের দিকের কোণে কাজল পরবেন না। তাতে চোখ আরও ছোট দেখাতে পারে।

৫) চোখ টানা টানা দেখাতে চোখের মাঝখান থেকে শেষ পর্যন্ত লম্বা টান দিতে হবে কাজলের। এতে চোখের আকার লম্বাটে দেখাবে।


শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত