পায়রা হবে দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি: বন্দর চেয়ারম্যান

শেয়ার করুন

২০২৬ সালের পহেলা জুলাই প্রথম জেটির উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে পায়রা বন্দরের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল। সভায় বক্তারা বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পায়রা হবে দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি।

বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে বন্দরের প্রথম টার্মিনালের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত পায়রা বন্দরের উন্নয়ন, অগ্রগতি ওসম্ভাবনা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।

এসময় তিনি বলেন, পায়রা বন্দর হবে আধুনিক, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব একটি বন্দর। বন্দর ঘিরে গড়ে উঠবে নতুন শিল্প এলাকা, যার ফলে কর্মসংস্থান হবে হাজারো মানুষের। সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে গতি পাবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমসের সভাপতি মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ কার্গো ভ্যাসেল অনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মতিন তালুকদার, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মামুনুর রশীদ।

সভায় বক্তারা, পায়রা বন্দর হবে দেশের প্রথম সম্পূর্ণ ড্রেজড ও কনটেইনার সুবিধাসম্পন্ন গভীর সমুদ্র বন্দর। ইতোমধ্যে ৫৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেজিং ও ২০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া চীনা বিনিয়োগে নির্মিত রেলসংযোগ ও পোর্ট ফ্যাসিলিটিজ, যেমন টার্মিনাল, পাইপলাইন, টাগ বোট ও মুরিং বোট যুক্ত হবে আগামীদিনে। বন্দরের আশপাশে গড়ে উঠবে পরিবেশবান্ধব আবাসন প্রকল্পও। সভা শেষে বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন অতিথিরা।

বন্দর চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে জানান, পায়রা বন্দরের নিজস্ব টার্মিনালের অপারেশন শুরুর আগেই অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও ইতোমধ্যে পায়রা বন্দর ৫২৯ টি বৈদেশিক জাহাজ ও ৩৪২৬টি দেশীয় লাইটারেজ নিরাপদে হ্যান্ডেল করতে সক্ষম হয়েছে এবং এ থেকে সরকার প্রায় ২০৭৯ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।

সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ খুব দ্রুতই শুরু হবে এবং তিনি আরও বলেন, পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে এখানে শিল্প ক্ষেত্রে বড় বিনিয়োগ হয়েছে এবং আরো বহু বিনিয়োেগ অপেক্ষমান আছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বন্দর সীমায় অবস্থিত দুটি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বন্দরের ওপর নির্ভরশীল অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পটুয়াখালী ইপিজেড, বন্দরের নিজস্ব শিল্পাঞ্চলের কথা তুলে ধরেন। এখানে বিনিয়োগের জন্য একাধিক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

তিনি জানান, বন্দর পূর্ণাঙ্গভাবে সচল হওয়ার পর বন্দর ও বন্দর-নির্ভর যে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে সেটা দক্ষিণাঞ্চলের একটি তুলনামূলক অনগ্রসর জনপদকে সমৃদ্ধ করা তথা দেশের অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব অবদান রাখবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বন্দরের অগ্রযাত্রায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহায়তার জন্য তিনি সবাই আহ্বান জানান।


শেয়ার করুন

Similar Posts