স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদতবার্ষিকী আজ

শেয়ার করুন

আলোর প্রতিবেদক

স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদতবার্ষিকী আজ । ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোরে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমণ্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। দ্বিতীয়বারের মতো এবারও ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে এই দিবসটি এসেছে আওয়ামী লীগের সামনে। টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকা দলটি প্রবল গণআন্দোলনে গত বছর ৫ই আগস্ট দলের সভাপতি পালিয়ে গেছেন ভারতে। সাধারণ সম্পাদকও লাপাত্তা। দলের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে। তবে এক বছর পর এবার ধানমন্ডি-৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি নিয়েছে মঞ্চ-৭১ নামে নতুন গঠিত একটি সংগঠন। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ভারত থেকে এক বার্তায় নেতাকর্মীদের শোক দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। ওদিকে শেখ হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ৩২ নম্বরের বাড়িতে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর।

ওদিকে গত বছর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের প্রেক্ষিতে ১৫ই আগস্টের সরকারি ছুটি বাতিল ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। এই হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০১০ সালের ২৭শে জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে ২৮শে জানুয়ারি ৫ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। ২০২০ সালের ১২ই এপ্রিল ভারতে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর হত্যা মামলার আরেক আসামি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।


শেয়ার করুন

Similar Posts