হোসেনপুরে ইসলামী ব্যাংকের অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় ইসলামী ব্যাংকে এস আলমের অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সচেতন ব্যাংকার সমাজ, ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম ও সচেতন ছাত্র সমাজ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকালে হোসেনপুর উপজেলা সদরের কাঁচা বাজারস্থ ইসলামী ব্যাংক শাখার সামনে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এস আলম গ্রুপ ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকে চট্টগ্রামের পটিয়া অঞ্চল থেকে গোপনে হাজার হাজার অযোগ্য লোক নিয়োগ দিয়ে ব্যাংকের সার্বিক পরিবেশ ধ্বংস করেছে। অনতিবিলম্বে এদের স্থায়ী নিয়োগ বাতিল করে মেধাবীদের যাচাইয়ের মাধ্যমে দক্ষদের নিয়োগ দিতে হবে।
তারা দাবি করেন, নিয়োগপ্রাপ্তদের অনেকে গ্রাহকসেবায় অদক্ষ, দুর্ব্যবহার করেন এবং আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেন, যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য সমস্যার। বক্তারা তাদের অবিলম্বে বহিষ্কার করে মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বক্তারা আরো জানান, এস আলমের ছত্রছায়ায় ব্যাংকে অনিয়ম, অর্থপাচার ও লোন জালিয়াতি বেড়েছে। ফলে ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে এবং ডলারের সংকটসহ অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তারা বলেন, বাক্স বসিয়ে পটিয়ার লোক নিয়োগ দিয়ে দেশব্যাপী ব্যাংক পরিচালনা করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এই সময় বক্তারা ইসলামী ব্যাংকের নিয়োগ, অডিট, কোর গভর্ন্যান্সসহ সার্বিক ব্যবস্থার সংস্কার এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
মানববন্ধনে জানানো হয়, সম্প্রতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের দক্ষতা যাচাইয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র মাধ্যমে মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করে। পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়েছিল ৫ হাজার ৩৮৫ জন কর্মকর্তাকে। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৪১৪ জন অংশ নিয়েছেন। বাকি ৪ হাজার ৯৭১ জন পরীক্ষায় অংশ নেননি। যারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের ওএসডি করে এবং ৪০০ জনকে চাকরিচ্যুত করে।
ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাক হওয়া, অযোগ্য নিয়োগ, অনিয়মতান্ত্রিক ঋণ বিতরণসহ বিভিন্ন ঘটনা এস আলমের প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ঘটছে। বক্তারা এই সব নিয়োগ বাতিল করে, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।