নির্বাচন কমিশনের উচিত নিরপেক্ষ আচরণ করা: সারজিস আলম

শেয়ার করুন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, নির্বাচন কমিশন এনসিপির প্রতীক (শাপলা মার্কা) বরাদ্দে স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। আইনগতভাবে এনসিপির শাপলা প্রতীক পেতে কোনো বাধা নেই। নির্বাচন কমিশনের উচিত নিরপেক্ষ আচরণ করা। তারা যদি স্বাধীনতা ও সাহস দেখাতে না পারে, তাহলে আগামী নির্বাচনে জনগণের আস্থা হারাবে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এনসিপির জেলা ও উপজেলা সমন্বয় সভায় তিনি এইসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাস্তবতায় গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়ায় তরুণদের ভূমিকা অপরিহার্য। তাই এনসিপি জুলাই সনদ নিয়ে আপোষহীন অবস্থানে আছে। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যখন শুধু নির্বাচনী মুখী অংশ হিসেবে সনদে স্বাক্ষর করেছে, তখন এনসিপি বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা ছাড়া স্বাক্ষর করতে রাজি হয়নি।

সারজিস আলম আরও বলেন, আগামীর বাংলাদেশে ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের জন্য মৌলিক সংস্কার ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। বিএনপি ও জামায়াত এককভাবে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে পারবে না। এই জায়গায় তরুণদের প্রতিনিধিত্ব ও এনসিপির অংশগ্রহণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, যেদিন জুলাই সনদের বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, যেদিন প্রধান উপদেষ্টার তরফ থেকে আদেশ জারি হবে এবং আদালত সনদের পক্ষে রায় দেবে। সেদিন এনসিপি নির্দ্বিধায় স্বাক্ষর করবে। কিন্তু তার আগে কাগজে কলমে সনদে সই করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করবে না।

এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আহনাফ সাঈদ খানের সভাপতিত্বে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক আহবায়ক হাফেজ ইকরাম হোসেনের সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক খাইরুল কবির, সংগঠক সাঈদ উজ্জ্বল, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য দিদার শাহসহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার এনসিপির নেতারা।


শেয়ার করুন

Similar Posts