হামলা করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না : হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বাসে-ট্রেনে আগুন দিয়ে, চোরাগোপ্তা হামলা করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘হরতাল-অবরোধ আর আগুন সন্ত্রাস : বন্ধ হোক এই অপরাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়ত যা করছে- এগুলো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। তারা ভেবেছে- বাসে আগুন দিয়ে আর রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংস করে বোধহয় নির্বাচন বানচাল করা যাবে। নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী উৎসবমুখর পরিবেশে হবে।
গৌরব’৭১ ও স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম যৌথ ভাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বিএনপির সাথে আছে আরেকটি দল জামায়াত। এদেরকে আমি কখনো রাজনৈতিক দল মনে করি না। ধর্মভিত্তিক জঙ্গি দল জামায়াতে ইসলামী। এরা একাত্তরে তাদের জঙ্গিপনা দেখিয়েছিল হত্যা, খুন ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের মাধ্যমে। তাদের এই ধারা এখনো অব্যাহত আছে। এদের সাথে বিএনপিও এখন জঙ্গি দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
হানিফ বলেন, পেট্রোল দিয়ে বাসে-ট্রেনে আগুন দেয়া, মানুষকে আহত করা- এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এই কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত, তাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে বিচার করা হবে। তাদের কি রাজনৈতিক সিল আছে, সেটা দেখা হবে না। যারা আগুন দেয়, তারা সন্ত্রাসী। এদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবেই বিবেচিত করা হবে।
তিনি বলেন, আমরাও আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। বিএনপির সাথে কিছু সমমনা দল আন্দোলন করে বলছে- তারা গণতন্ত্র কায়েম করতে চায়। কোন গণতন্ত্র আপনারা কায়েম করতে চান? মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, আগুন দিয়ে মানুষের সম্পত্তি ধ্বংস করা- এর নাম কি গণতন্ত্র? আপনারা কোন গণতন্ত্র কায়েম করতে চান?
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ১৮৬টি বাস-ট্রাক আগুন পুড়িয়েছে। কেন? রাজনীতির সাথে আগুনের সম্পর্ক কী? এটা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। এগুলো জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের কাজ, এটা কিভাবে গণতন্ত্র হয়।
আপনারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, মানবতার কথা বলেন, অন্যদিকে আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেন, এটা কোন গণতন্ত্র, কোন মানবতা?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গৌরব ’৭১-এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন। সঞ্চালনা করেন স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম নেতা ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম।
আলোচনা সভার শুরুতে বক্তারা বিএনপি-জামায়াতের অবরোধে দেয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ বাস মালিক ও শ্রমিকরা তাদের নিজেদের অবস্থা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।