ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার বিধবা মাকে প্রাণনাশের হুমকি

শেয়ার করুন

মামলা তুলে না নিলে বাদী ও তার বিধবা মাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে ধর্ষণ মামলার জেল হাজতে থাকা আসামী এবিএম জাকারিয়ার বড় ভাই ফোরকান মিয়া।

শনিবার মামলার বাদী নার্স আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এমন লিখিত অভিযোগ করেছেন। অপর দিকে এ মামলায় শিক্ষক এবিএম জাকারিয়া গ্রেপ্তার হওয়াতে তাকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মুকিত মোল্লা তাকে এ বরখাস্ত করেছেন।

জানাগেছে, তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবিএম জাকারিয়া ঢাকার একটি বে-সরকারী হাসপাতালে এক সেবিকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে সেবিকা অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে যায়। এরপর জোরপুর্বক ঔষধ খাইয়ে ওই অন্তঃস্বত্ত্বা নারীর ভ্রুণ হত্যা করে জাকারিয়া। এরপর ওই সেবিকার সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তিনি।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ১৯ মে ওই সেবিকা ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এবিএম জাকারিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক শাহরিয়ার কবির মামলাটি আমলে নিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করার নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ মতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করেন। গত রবিবার রাতে কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মোঃ মিজানুর রহমান ও আমতলী থানা এসআই আশরাফ মিয়ার নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালিয়ে এবিএম জাকারিয়াকে আমতলী পৌর শহরের একে স্কুল এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় আসামী জাকারিয়া জেল হাজতে রয়েছেন।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার মুকিত মোল্লা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। অপর দিকে মামলার বাদী ও তার পরিবারকে জাকারিয়ার ভাই ফোরকান মিয়া মামলা তুলে না নিলে মামলার বাদী ও তার বিধবা মাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। শনিবার মামলার বাদী নার্স আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এমন লিখিত অভিযোগ করেছেন। ধর্ষক এবিএম জাকারিয়া তালতলী উপজেলার হুলাটানা গ্রামের সেকান্দার আলী হাওলাদারের পুত্র।

মামলার বাদী বলেন, মামলা তুলে না নিলে ফোরকান ও তার সহযোগীরা আমাকে ও আমার বিধবা মাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার ও আমার মায়ের জীবনের নিরাপত্তা চাই।

শিক্ষক জাকারিয়ার ভাই মোঃ ফোরকান মিয়া মামলার বাদী ও তার বিধবা মাকে জীবন নাশের হুমকি দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমার সঙ্গে কারো কথা হয়নি। এগুলো মিথ্যা।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল মুকিত মোল্লা বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রতিবেদন পেয়ে তাকে বিধি মোতাবেক সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছে।


শেয়ার করুন

Similar Posts