অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নিতে সম্মত ড. ইউনূস
ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ। তাঁকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের প্রস্তাবে তিনি সম্মত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। মঙ্গলবার ভোর ৪টার পর ফেসবুকে দেওয়া ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ হাসান।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের প্রস্তাবে ড. ইউনূস বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমি প্রথমে রাজি হতে চাইনি। আমি তাদের বলেছি, আমার বহু কাজ আছে যেগুলো আমাকে শেষ করতে হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাকে বারবার অনুরোধ করে বলেন, আমরা এ রকম একটি রক্তক্ষয়ী আন্দোলন করে সফল হয়েছি। এই আন্দোলনে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, বহু শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় দেশ পরিচালনার। সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি দায়িত্ব নেন তাহলেই সেটা সম্ভব। আপনি দায়িত্ব নিতে রাজি না হলে সেটা আমাদের কারও জন্যেই ভালো হবে না। সে কারণেই আপনাকে আমরা অনুরোধ করছি দায়িত্ব নিতে।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে ভিডিও বার্তায় নাহিদ হাসান বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের রূপরেখা দিতে আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলাম। কিন্তু জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় এখনই রূপরেখা ঘোষণা করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে। তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, তিনি দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ থাকবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হোক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি সদস্যদের নামও আমরা সকালের মধ্যে ঘোষণা করবো। আমরা সকালের মধ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া দেখতে চাই।’
এর আগে সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করবো। সেই জাতীয় সরকারে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-নাগরিকদের অংশ থাকবে এবং নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও বিভিন্ন পক্ষ রয়েছে। সবার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা ও সেই সরকারে কারা কারা থাকবেন তাদের নাম ঘোষণা করবো।’