শাটডাউন কর্মসূচি: চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাসে বিঘ্ন ঘটছে

শেয়ার করুন

কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। আজ শনিবার সকাল ছয়টা থেকে এ কর্মসূচি শুরুর পর থেকে বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রমে বিঘ্ন তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশ করতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক। বন্দরের জেটির ভেতরেও পণ্য বোঝাইয়ের অপেক্ষায় জট তৈরি হয়েছে গাড়ির।

আজ শনিবার সকাল ছয়টা থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়নও বন্ধ হয়ে গেছে। তবে আগে নিবন্ধন হওয়া জাহাজ থেকে বন্দরে কনটেইনার ওঠানো-নামানো কার্যক্রম চালু রয়েছে। নিবন্ধনহীন নতুন জাহাজ জেটিতে আসলে শাটডাউন কর্মসূচির আওতায় পড়বে। তখন বন্দরের কার্যক্রমেও প্রভাব পড়বে ব্যাপক হারে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানির শুল্কায়ন থেকে খালাস পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সব কার্যক্রম কাস্টমসের অনুমোদনে হয়। কাস্টমসের অনুমোদন ছাড়া এসব কার্যক্রমের কোনোটি হয় না। ফলে কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ হলে বন্দরের কার্যক্রমেও এর প্রভাব পড়ে।’

বন্দরের চিফ পার্সোনাল অফিসার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বন্দর জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য উঠা নামার কাজ এখনো স্বাভাবিক আছে। তবে খালাস প্রক্রিয়ার সেসব পয়েন্টে কাস্টমস যুক্ত আছে, সেখানে কিছুটা প্রভাব পড়ছে।’

শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, আগের অনুমোদন থাকায় জেটিতে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠা-নামার কাজ চলছে। তবে যেসব জাহাজ এখন নিবন্ধন হয়নি, সেগুলোতে কনটেইনার ওঠা-নামা করা যাবে না। রপ্তানি শুল্কায়ন না হলে সেখানেও প্রভাব পড়বে। দ্রুত এই কর্মসূচির ইস্যু নিস্পত্তি করা দরকার সরকারের। অন্যথায় আমদানি-রপ্তানিতে ভয়াবহ সংকট তৈরি করবে।

রাজস্ব খাতের সংস্কার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আজ থেকে সারা দেশের শুল্ক–কর কার্যালয়ে লাগাতার শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়। এতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। কারণ, আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ৯২ ভাগ এই বন্দর দিয়ে আনা-নেওয়া হয়।


শেয়ার করুন

Similar Posts